খড়ের স্তূপে আগুন


 

তোমার হৃদয় জমিন থেকে,
প্রতিদিন স্বপ্ন ও আশা নামের খড় কুড়েছি।
দিনের পর দিন জমে জমে,
আমার হৃদয়ে একটি খড়ের স্তূপ গড়েছি।
ভেবেছিলাম তুমি অনুমতি দিলে,
আমি সেই খড় দিয়ে জীবনের চুলো জ্বালাব।
তুমি নীরব ছিলে, তাতে আমাকে খারাপ লাগেনি।
ভেবেছি আমি সানন্দে অপেক্ষা করতে পারব।
কিন্তু আজ দেখি, খড়ের স্তূপে তীব্র আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে।
কেউ একজন ঐ স্তূপে, আমার অগোচরেই আগুন লেগে দিয়েছে।
আমি সেই আগুন নেভানোর জন্য দিগ্বিদিক ছুটছি,
কিন্তু এলো না কোন দমকল বাহিনী।
তোমার বাড়িতেও তো পুকুর ছিল,
কিন্তু নাহি দিল পানি, শুনে সে কাহিনী।
স্তূপটা জ্বলছে এখনও অবিরাম।
হয়ত কিছুক্ষণের মধ্যেই পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবে ;
বিলীন হয়ে যাবে, হৃদয়ে জমানো সব খড়গুলো।
জীবনের চুলো হয়ত, আর কোনদিন জ্বলে উঠবে না।
তবু ঐ জীবনের চিলাকোঠায় দাড়িয়ে, হাতদুটো বাড়িয়ে,
মেঘলোকে তাকিয়ে, নিথর হয়ে আমি থাকব না।
নয়ত করুণার পাত্র হয়ে যাব যে।
আর তুমিও আমার জন্য কখনই করুণা দেখাবে না।
জেনে রেখ তুমি, জীবনের নিয়তিকে মেনে নিয়ে,
সর্ব পরিস্থিতির আঁচড়ে, পথ চলার দৃঢ়তা আমার থাকবে।
তাই খড়ের স্তূপে করছি আমি, তাপ-বিদ্যুৎ স্থাপন।
উৎপাদন করছি বিদ্যুৎ-শক্তি, কয়লা খনির মতন।
পুড়ে পুড়ে একেবারেই বিলীন হয়ে যাবে যখন,
তখন ছাই দিয়ে বাসন মাজব, তৈরি করব দাঁতের মাজন।
তবু আমার জন্য আক্ষেপ করবে না, অবিরাম হাসবে।
ঐ হাসিটাই আমার কান্নার জলকে বিলীন করে দেবে।
কিছুটা অর্থ খুঁজে পাব তবে, এই স্তূপের দাবানলে।
মিটিয়ে নেব বিষুবীয় তৃষ্ণা, এই নিয়তির ছলে।

1 comment: