চুরি করে



















এই তো সেদিন দিলি, মোরে তুই প্রমা,
দুই দিনের মহিতে গড়ি মোরা নাম,
আত্মার প্রস্থানে রবে না দেহের দাম।
তবে কেন চুরি করে চলে গেলি রে মা!
জিম্মি করে কি নিতাম, আমি নয়া জামা?
মিঠাই খেতে কি আমি জিদ করিতাম?
নাকি পুতুল খেলার খেলনা নিতাম?
তবে কেন চুরি করে চলে গেলি রে মা!

যাবার পূর্বে আমায় জানাতিস যদি,
শিকল পড়ে দিতাম তোর দুটি পায়
কিছু দিয়ে ঘিরিতাম বাড়ির চেীহদ্দি।
তবুও যদি যেতিস ছেড়ে এ আমায়,
তবে কষ্ট কম হত ; হেতু ভাবিতাম,
চেষ্টা করেও পারিনি- তা মেনে নিতাম
___ ফয়সাল আহমেদ 

মা বিহনে

____

তুই যে আমায় রেখেছিলি কত আদর, কত যত্নে ;
জায়গা না পেলে শেষে হৃদয় অঙ্গনে।
না খেয়ে আমি স্কুলে গিয়েছি অনেক অনেক দিন।
খাবার দিয়ে আসতে মাগো ভুলিসনিও একদিন।
সেই মা তুই চলে গেলি এত নিষ্ঠুরভাবে!
তুই বিহনে এখন আমি থাকব কিভাবে?
মাগো থাকব কিভাবে?

মাঠে-ঘাটে যখন ছুটে বেড়াই হই-হুল্লোর করে ;
সবার আগে তুই তো ফেরাস, ওগো মা ওরে।
তুই তো আমায় দেখিয়ে দিতিস, জীবনের পথচলা।
এখন কি আর পারব আমি পড়তে জয়ের মালা।
কেন তুই হারিয়ে গেলি, আমায় না ভেবে!
তুই বিহনে এখন আমি চলব কিভাবে?
মাগো চলব কিভাবে?

তোর কাছে থাকলে মাগো কিচ্ছুর অভাব নাই।
তাই তো আমি সর্বদা তোর কাছেই থাকতে চাই।
কিন্তু থাকলি নারে মা, তুই চলে গেলি দুরে।
তাও যদি তোক যেতেই হয়, সঙ্গে নিতি আমারে।
তুই বিহনে এখন আমি বাঁচব কিভাবে?
মাগো বাঁচব কিভাবে?

 



তুমিও কি

___ফয়সাল আহমেদ

কখনো দেখি নীল আকাশে
সাদা মেঘের ছড়াছড়ী।
আবার ঝাক বেধেঁ পাখির দল
দিয়েছে কোথাও পাড়ী।

রাতের আধারে কখনো দেখি
জোনাকীদের খেলা।
আবার উপরে তাকালে দেখি
উজ্জল তারার মেলা।

তুমি না থাকলে কাছে
এগুলো দেখি যে কত!
মনে হয় তুমিও তা
দেখছো আমার মত।

হয়তবা কখনো উষ্ণদেহ
ঠান্ডা করে দেয় বাতাস।
গোধুলী লগনে সূর্যকে নিয়ে
মন মাতিয়ে দেয় আকাশ।

কখনও আবার শীতের দিনে
হরেক রঙ্গে দেখি শিশির কনা।
সুগন্ধ বিলায় আমারই জন্য
নিঃস্বার্থে হাসনেহেনা।

এগুলো দেখার এমন সময়
মনে করি আমিঃ-
প্রকৃতির কাছে করেছো অনুরোধ,
আমাকে দেখাবার জন্য,তুমি।

যখন শরৎকালের কাশঁবনে
কাশঁফুল ছুয়ে যাই,
তার মাঝে আমি যেন
তোমারই ছোয়াঁ পাই।

বসন্তকালের কোকিলের কন্ঠের
সুমধুর রেশ বাজে।
যখন প্রকৃতি ফুলে-ফুলে
সজ্জিত হয়,নব সাজেঁ।

এগুলোর মাঝে বিবাগী এ মন,
শুধুই ভাবে তোমকে ।
তুমিও কি ভাবতে থাকো,
ঠিক এমনটাই আমাকে ? 







___নিজ বাসভবন, 13/01/2011