নেশা মুক্ত পথ

___ ফয়সাল আহমেদ

পেশা তো নয় আপনার নেশা,
বরং নেশাটায় হয়ে গেছে পেশা।
ছুটছেন সর্বদায় নেশার পিছু;
সিগারেট, মদ, ফেনসিডিল কিংবা গাঁজা;
নির্বিগ্নে খাচ্ছেন, নাহি পাচ্ছেন উপযুক্ত সাঁজা।
আপনার খাবার জন্য মুখ আছে,
কেনার জন্য টাকাও আছে।
তো ভালকথা; কিনুন, খান।
তাই বলে মাদক দ্রব্য খেতে হবে কেন?
যেটা মানুষদের অগোচোরে খেতে হয়;
যার জন্য আপনাকে প্রশাসন খুঁজে বেরায়।
সেই মাদকের প্রতি এত আকুতি কেন?
কেনইবা এর প্রতি এত টান!
আপনি কখনও ভেবে দেখেছেন,
এর কুফল কতগুলো দিকে বিদ্যমান?
বিভিন্ন ব্যাধিতে সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন।
হৃদরোগ ও ক্যান্সার তার জলন্ত প্রমান।
স্মৃতিশক্তি লোপ ও সাময়িক উদ্বিগ্নতায় পতিত হবেন।
ফলে সবার কাছে হতে থাকবেন লাঞ্চিত আর অপমান।
শুধু এখানেই শেষ নয়;
আপনি নেশা করবেন যত বেশী,
আপনার কাছ থেকে আপনজনেরা চলে যাবে ততো বেশী।
চলে যেতে যেতে একসময়,
হিরোসিমা আর নাগাসির মত হয়ে যাবেন শুধু একা।
যেখানে পরমানু বিষ্ফোরনের ফলে,
আজও মানুষকে বাস করতে যায়নি দেখা।

আবারও ভাবুন;
চারপাশটা দেখুন।
আনন্দ আহরনের জন্য পৃথিবীতে কত কিছুই না আছে।
যেগুলো আত্মমর্যাদার কথা বলে;
সত্যের পথে চলে।
একটা আনন্দ-অনুভুতি রয়েছে, প্রকৃতি বিচরনের মাঝেও;
যেটা উপলদ্ধি করেননি হয়ত আপনি এখনও।
তাই আসুন, নেতিবাচকের দিক ছেড়ে দেই।
ইতিবাচকের দিক হাতিয়ে নেই।
নেশামুক্ত পথে চলি;
জীবনটাকে সুন্দর ভাবে সাঁজিয়ে তুলি। 


ভালবাসার তুল্যতা

 ___ ফয়সাল আহমেদ

আমার ভালবাসা পদার্থ বিজ্ঞানের কোন পদার্থ নয় যে,
বিভিন্ন তাপমাত্রায় বিভিন্ন রুপে রুপান্বিত হবে।
আমার ভালবাসা রসায়নের কোন মৌল নয় যে,
অন্য মৌলের সাথে বিক্রিয়া করে, অন্যকিছু উত্‍পন্য করবে।
আমার ভালবাসা জীব বিজ্ঞানের কোন জীবন নয় যে,
আমাদের অজান্তেই ফ্রুত করে উড়ে যাবে।
আমার ভালবাসা সমাজ বিজ্ঞানের কোন সমাজ নয় যে,
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ এসে সেখানে বাস করবে।
আমার ভালবাসা গনিতের অংকের মত চিরসত্য;
এর সমাধান তুমি যেভাবেই করনা কেন, এর উত্তর, সর্বদা একই বেরুবে।



মেহেদি

___ ফয়সাল আহমেদ

কত সুক্ষভাবে ! কত সুন্দরভাবে !
সে কাহার কথা ভেবে ভেবে,
মেহেদি দিয়ে রাংগিয়েছ ঐ হাত?
আজি নির্ঘুম চোঁখে জেগে জেগে রাত।
সে কাহাকে দেখাবার তরে?
সে কি বাস করে, তোমার মনের কুটিরে?
নাকি এখনও জায়গাটায় করে দাওনি?
তাকে কি কখনও ডেকেছো, একটু একটু করে?
নাকি এখনও তাকে নিয়ে কল্পনায় করনি?
শুধু জানি, মাঝে মাঝে তোমারও মন,
কি জানি চায়;
কি জানি বলে যায় চুপে চুপে;
লুকোচুরি খেলে যায়;
বাসনার নীলিমায়, দ্বীধায়-দ্বীধায়। 




চাঁদের সমতা

___ ফয়সাল আহমেদ

চাঁদ পৃথিবীর উপগ্রহ।
যাহাকে ছুঁয়ে দেখা স্বপ্ন; সে যে শুধুই চাক্ষুষ।
কিন্তু আমি একজন রক্তে মাংসে গড়া সাধারণ মানুষ।
আমারও কার্য সম্পাদনের জন্য দুইটি হাত রহিয়াছে।
পদচারণার জন্য দুইটি পা রহিয়াছে।
দৃষ্টিপাতের জন্য রহিয়াছে, দুইটি মাত্র চোঁখ।
আমারও ঘ্রান নেবার জন্য নাক রহিয়াছে।
শ্রবনের জন্য দুইটি কান রহিয়াছে।
বলিবার জন্য রহিয়াছে, ছোট্ট একখানা মুখ।
তবে তুমি বলিতে পারো?
তবু কেন আমায় চাঁদ বলিয়া মনে করো?

চেয়ে দেখিয়া লও, ঐ চাঁদ, তার আলো, সৌন্দর্যতা
সব'ই বিলিয়ে দিতেছে, সকলের তরে।
কিন্তু কই? আমি তো পারিনা,
করিতে সকলের সব হিতকর সাধন।
যে জন যতটুকু চায়, যতটুকু মিনতি করে,সেইটুকুও মেলেনা যথাযথ;
হয় নাকো পূর্ণ, তাহাদের যত্‍ সামান্য চাহন।
তবে তুমি বলিতে পারো?
তবু কেন আমায় চাঁদ বলিয়া মনে করো?

তুমি তো জানো, ঐ চাঁদ সময় মত আসিয়া পড়ে,
আবার সময় মত চলিয়া যায়।
কিন্তু তুমি কখনও দেখিয়াছ?
সে একটি বারের জন্য ব্যাঘাত ঘটায়?
নিশ্চয় দেখনি; কিন্তু এই আমাকে দেখিয়া লও,
কত মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেই,
অথচ রক্ষা করিতে পারিনা।
কত দায়িত্ব, কত কর্তব্য'ই না এড়িয়ে চলি;
যথাযথ রক্ষা করতে পারি না।
তবে তুমি বলিতে পারো?

তবু কেন আমায় চাঁদ বলিয়া মনে করো?

কখনও অনুমান করিয়াছ?
সৌন্দর্য্যতা, আলো, এইসব বিসর্জনের মধ্যে
চাঁদের কোন স্বার্থ থাকে না।
বিনীময়ে শুধুই নিরবে হাসিয়া যায়।
আর কিছুই চাহেনা।
পক্ষান্তরে সে, তুমি, নির্বিশেষে আমিও
কাওকে কিছু দিলে, কিছু পাবার প্রত্যাশা করিয়া থাকি;
বিনীময় না পাইলে কিছুই দিতে চাহিনা।
তবে তুমি বলিতে পারো?
তবু কেন আমায় চাঁদ বলিয়া মনে করো?


মানুষের জীবনে তিন ভাবে প্রেম উত্পন্য হয়।

একঃ হঠাত্‍ কারো কোন বিশেষ দিকের প্রতি মুগ্ধ হয়ে যাওয়া।
দুইঃ কারো সাথে প্রতিনিয়ত চলাফেরা করতে করতে, তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়া।
তিনঃ প্রতিপক্ষের ভালবাসার মাত্রা অনুধাবন করার মাধ্যমে, তাকে সমর্থন করা।

আপনি যদি কাউকে আপনার প্রেমের জালে পিঞ্জিরাবদ্ধ করতে চান, তবে প্রথম পদ্ধতি অনুশরন করুন। তাতে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয়টি। কিন্তু তৃতীয়টি অনুশরন করবেন সর্বশেষে।

[বিঃদ্রঃ এর কারণ এবং ব্যাক্ষাটা এখন দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত। পরবর্তিতে চেষ্টা করব। তবে ভেবে দেখুন, নীতিটি অবশ্যয় কার্যকর।]

পেটা লোহা

___ ফয়সাল আহমেদ


হে নব জোয়ান, তুমি কেন চিন্তা কর!
তুমি শুধু রয়ে যাও, তব মত করে ;
তোমার দৈনন্দিনের  কার্য-হাল ধরে
পেটা লোহার সহিত মিছে কেন লড়!
হে নব জোয়ান, তুমি কেন চিন্তা কর?
কত প্রচেষ্টা করেছ কত দিন ধরে!
তবু সামান্য বাঁকেনি, সে তোমার তরে
তাই চেষ্টা থেমে দিয়ে, আজ ধৈর্য ধর

কোন একদিন,  সূর্য-তাপ তেজী হয়ে,
আঁকড়ে ধরিবে তার বাহুর চৌদিশে
তবে কি আর পারিবে,  সে অক্ষুণ্ণ রয়ে?
খুঁজে পাবে নাতো আর, অন্য কোন দিশে ;
শুধু লালে নেবে রূপ, তাপে জ্বলে জ্বলে ;