ভরাডুবি ভাবনা

 

অধরার কিছুটা সময় বিষণ্ণ কেন মন?
সমান তালে, ছন্দময়ে জীবন কি চলে সারাক্ষন?
প্রতিদিন রৌদ্রজ্জলের মাঝেও হঠাৎ কোনদিন মেঘে আচ্ছন্ন।
কখনো আবার ঝড়ের প্রাবাল্যতে কতকিছুই না ভেংগে হয় বিপন্ন।
এই বিশাল মহাজগতের কত সুন্দর সাবলীল নিয়ম!
তবুও তাতে কিছুটা সময় প্রভাব ফেলে ব্যতিক্রম।
তবে কেন ভরাডুবি ভাবিস তুই বল।
তড়িৎবেগে মুছিয়ে ফেল চোঁখের কোণের জল।
আজকে হয়ত একটু পিছিয়ে, তা তো ভেংগে পড়ার বিষয় নয়।
আগামীদিনে দেখবি তুই হাজার রংগের জয়।
যা হয়ত এখন নেই প্রত্যাশার পরিধির পরিবদ্ধ।
আর তখন দেখবি, শুধু সাফল্যের তারণে মহাজগৎ মহা-মুগ্ধ।

ঘোমটা

 

ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
মাথায় কেন ঘোমটা দিয়ে,
আমার দিকে আসছ ধেয়ে ধেয়ে?
তুমি কি অহেতুক সশঙ্ক ভেবেছ বাড়িয়ে?
নাকি তোমার পানে থাকব আমি একটুখানি চেয়ে ;
তাই কি তুমি আসছ ধেয়ে, মাথায় ঘোমটা দিয়ে?
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
তাকিয়েছ তুমি মাথা নুয়ে, দৃষ্টি-রেখা পায়ে ;
হেঁটেছ তুমি, বই-খাতা বক্ষে তুলে নিয়ে।
কিন্তু কি ভেবেছ আমার দায়ে, তব আপন হৃদয়ে!
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
নব বসন্তের সজ্জিত গায়ে,
একটুখানি হাসি দিয়ে, কোথায় গেলে হারিয়ে?
মন যে ব্যাকুল, বড়ই অস্থির, তোমায় না পেয়ে।
মনের যুদ্ধ বড়ই যুদ্ধ ; ছুটছি দিগ্বিজয়ে
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
দর্শন দিয়েছ, মন কেড়েছ অতই নির্দ্বিধায়ে।
কিন্তু কি পাব আমি, কি পাব বল, এর রপ্ত দায়ে?
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
ভাল লাগার সব বর্ণ ছুঁয়ে, ভালবাসার সব বাঁধন দিয়ে,
নিয়েছি তোমায় বাঁধিয়ে।
কিন্তু দাড়াতে চাইনা, তোমার পথের অন্তরায় হয়ে।
শুধু এগুতে চাই, তোমার পথের সঙ্গী হয়ে।
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
ভালবাসার পসরা সাজিয়ে, বধূর ভূষণে রাঙ্গিয়ে,
অপেক্ষা করবে আমার জন্য, ঐ ঘোমটাকে আঁকড়িয়ে?
এর উত্তর যা দিবে দাও, তবে ভেবে-চিন্তে দাও, তব ইচ্ছার সময়ে।
আর আমি রইলাম, অবিরাম সেই উত্তরের পথ চেয়ে